পুলিশের নাকা চেকিং এ ২৭ কেজি গাঁজা সহ ধৃত ৩ জন

4th September 2021 1:09 pm বর্ধমান
পুলিশের নাকা চেকিং এ ২৭ কেজি গাঁজা সহ ধৃত ৩ জন


আমিরুল ইসলাম ( মঙ্গলকোট ) :  পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের নির্দেশে প্রতিটি থানা তার থানা এলাকায় প্রধান সড়কের ওপর নাকা চেকিং চালাচ্ছেন রাতভর ।এলাকাকে শান্তি ও সুস্থ থাকে। মঙ্গলকোট থানার পুলিশ প্রতিদিনই লোচন দাস সেতুতে নাকা চেকিং চালাচ্ছেন রাত ভোর। গতকাল গভীর রাত্রে নাকা চেকিং করতে গিয়ে একটি চারচাকা কে আটকায় মঙ্গলকোট থানার পুলিশ। সেই সময়ে ড্রাইভারসহ আর দুই ব্যক্তি ছিলেন গাড়িতে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তারা কোথায় যাবেন। তারা জানায় তারা বীরভূম থেকে আসছে বর্ধমানের দিকে যাবে। এরপর তাদের গাড়ির মধ্যে দুটি বস্তা দেখতে পায় পুলিশ ।জিজ্ঞাসাবাদ করতেই তারা পালাবার চেষ্টা শুরু করে। পুলিশ তড়িঘড়ি ওই তিন ব্যক্তিকে আটক করে। এরপর বস্তা খুলতেই  পুলিশ দেখতে পায় তার মধ্যে গাঁজা রয়েছে।
ওই ধৃত ৩ ব্যক্তিদের নাম আলাউদ্দিন শেখ, বয়স ২৮  বছর, বাড়ি কাটোয়ায়, রোহিত গোস্বামী, বয়স ৩৫  বছর ,বাড়ি কাটোয়া পঞ্চানন তলায় ও রাহুল যাদব, বয়স ৩০ বছর বাড়ি দুর্গাপুরে। এদের কাছ থেকে ২৭ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ। আজ বর্ধমান আদালতে পেশ করে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ। গাড়ি চালক আলাউদ্দিন শেখ তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের চেয়েছে আদালতের কাছে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ। তারা কোথা থেকে এই গাজা আনছিল ছিল এবং কতদিন তারাই ব্যবসা চালাচ্ছে সমস্ত তথ্য জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। সবমিলিয়ে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ ইতিমধ্যে লোচন দাস সেতুতে একবার সফলতা অর্জন করেছিল। উদ্ধার করেছিল কডিন সিরাপ। গতকাল গভীর রাত্রে আবার গাঁজা উদ্ধার কড়াই মঙ্গলকোট থানার পুলিশকে স্থানীয় মানুষজন অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। ঝিলু এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হায়দার সাফি জানান, মঙ্গলকোট থানার পুলিশ এলাকায় দারুণভাবে নজরদারি চালাচ্ছে যার ফলে গতকাল রাত্রে এই গাঁজা উদ্ধার হলো। পুলিশকে সাধুবাদ জানাই  ।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।